৭ই জানুয়ারি ২০২৫
শুধু বাংলাদেশ সীমান্তেই কেন মানুষ মারে বিএসএফ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানী খাতুনের লাশের সেই দৃশ্যের কথা আমরা ভুলতে পারি না। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানী খাতুনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। আজ ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পূর্ণ হলেও এখনো ন্যায়বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।
কেবল ফেলানীর লাশই নয়, সেই ধারাবাহিকতায় আরও অসংখ্য মানুষের লাশ দেখেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালে ফেলানী খাতুন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে স্বর্ণা দাস—সীমান্ত হত্যার সবটাই যেন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট নজির। একটা রাষ্ট্র তার প্রতিবেশী নাগরিকের ওপর বছরের পর বছর এ হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কবে নাগাদ শেষ হবে এই জুলুম?
১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানী কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে তার বাবার সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। কাঁটাতার পার হওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। তার লাশ দীর্ঘসময় ঝুলে ছিল কাঁটাতারের বেড়ায়।